আশীর্বাণী

ওঁ

বিজয়িনী নাই তব ভয়,

দুঃখে ও বাধায় তব জয়।

… … …

জয়শ্রীর এই পরিচয় ।।

৩০ কাল্গুণ ১৩৩৮,

“পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচন এবং সমাজ পরিবর্তনের – এই দুই লক্ষ্য সামনে রেখে”

১৩৩৮ বৈশাখ/1931. May, প্রথম আত্মপ্রকাশ। পত্রিকার প্রতিষ্ঠা ও সম্পাদনা শুরু – বিপ্লবী লীলা নাগের হাতে – যিনি ব্যক্তিচরিত্রে “বিজয়িনী”, “জয়শ্রী” – তাঁর পত্রিকার চরিত্রও “জয়শ্রী”; একটি সনাতন জাতির পুনঃজাগরণের অদম্য ইচ্ছা ও সাধনা।

বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বাধায়, মাঝে প্রকাশে বিঘ্ন, আবার আত্মপ্রকাশ। বাংলার মাসিক পত্রিকাদের মধ্যে, সুদীর্ঘ জয় যাত্রায়, সময়ের নিরিখে যার স্থান স্বামিজীর ‘উদ্বোধন’ পত্রিকার পরেই। প্রথম যুগেই লেখককুলের নক্ষত্রগুলি- কবিগুরু, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, আচার্য নন্দলাল বসু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু, অধ্যাপক জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, সরোজিনী নাইডু, সুভাষ চন্দ্র বসু, ক্ষিতি মোহন মেন, ডাঃ মেঘনাদ সাহা, ডঃ মহম্মদ সহিদুল্লাহ, স্বামী প্রত্যা — নন্দ;

ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী, কমলাদেবী চট্রোপাধ্যায়, অনিল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক বিনয় কুমার সরকার, অনিল বরন রায়, বুদ্ধদেব বসু,  প্যারি মোহন ঘোষ, জীবনানন্দ দাশ, ভুপেন্দ্র নাথ দত্ত, সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক জ্যোতিষচন্দ্র ঘোষ, প্রবোধ কুমার সান্যাল, আচার্য নরেন্দ্র দেব, সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর … বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, শিল্প, বিপ্লব সমস্ত ক্ষেত্রের মহারথীগন।

ব্যক্তির মৃত্যু হয়, কিন্তু মহৎ স্বপ্ন, সাধনার মৃত্যু হয় না। বিপ্লবী লীলা নাগ/রায়ের পরেও বিপ্লব তাপস – সুনীল দাস, অধ্যাপক সমর গুহ, তার পর শ্রদ্ধেয় শ্রী বিজয় কুমার নাগের সম্পাদনায় ‘ জয়শ্রী ‘ জয়যাত্রা অব্যাহত আছে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী সময়কালে ‘ জয়শ্রীর ‘ প্রকাশনা ব্যাহত।

ভালো লাগছে , আবার আত্মপ্রকাশ হয়েছে – অন্ততঃ Web Site – এ।

১২৮ বছর ব্যাপী নেতাজী–ভগবানজী–মহাকালের নিরবচ্ছিন্ন সাধনা – লক্ষ লক্ষ বছরের সনাতনের আদর্শ – জ্ঞান গরিমা সঙ্গে নিয়ে নতুন ভারত বিশ্বমানচিত্রে তার স্থান করুক – এই বাণী প্রচারের প্রতীক্ষা নিয়ে এই যাত্রায় সবাই সামিল হউক।