জয়শ্রীর এই পরিচয়
বিজয়িনী নাই তব ভয়,
দুঃখে ও বাধায় তব জয়।
অন্যায়ের অপমান,
সম্মান করিবে দান,
জয়শ্রীর এই পরিচয়।।
জয়শ্রী পত্রিকা – শতবর্ষের পথে
ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী দেশনেত্রী লীলা রায় (নাগ) – এর দ্বারা প্রকাশিত ‘জয়শ্রী’ পত্রিকা, বহু ঝড় ঝঞ্ঝা, বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে আজ শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। মানবতার মুক্তিদূত নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ইচ্ছানুসারে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আশীর্বাদ নিয়ে বিপ্লবী দেশনেত্রী ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে, জাতীয়তাবাদী বক্তব্য দেশের মানুষের কাছে, বিশেষ করে তখনো বহুলাংশে পর্দানশীন অন্তঃপুরবাসিনী সমাজের অর্ধেক আকাশ যারা, সেই নারীসমাজের কাছে আরও বেশী করে পৌঁছে দিতে এবং তৎকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে তাদের অবহিত করার উদ্দেশ্যে ‘জয়শ্রী’ পত্রিকা প্রকাশ করেন।
অবস্য এরও আগের একটা ছোট্ট ইতিহাস আছে, ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী ঢাকায় ‘দীপালী সঙ্ঘ’ প্রতিষ্ঠা করেন, যা অল্পদিনের মধেই অবিভক্ত বঙ্গদেশে নারীমুক্তি আন্দোলনের প্রথম সারিতে উঠে আসে এবং যার ব্যাপ্তি ও সাফল্য দেখে স্বয়ং কবিগুরু গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি বিপ্লবী দেশনেত্রীকে শান্তিনিকেতনে এসে যোগদান করার আহ্বান জানান এবং বিপ্লবী দেশনেত্রী জানান যে তিনি আপাতত এই কাজেই ব্যস্ত থাকতে চান। ইতিমধ্যে তাঁর সাথে বিপ্লবী দার্শনিক শ্রী অনিল চন্দ্র রায় ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যোগাযোগ হয় যা ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত কলকাতা কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে গভীর হয়। এরপর ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে কবিগুরুর আশীর্বাদ নিয়ে পথচলা শুরু হয়ে ‘জয়শ্রী’ পত্রিকার। কবিগুরু স্বয়ং এই পত্রিকার নামকরণ করেন। এই উপলক্ষ্যে তিনি বিপ্লবী দেশনেত্রীর উদ্দেশ্যে নিম্লিক্ষিত আশীর্বাদ প্রেরণ করন –
“বিজয়িনী নাই তব ভয়
দুঃখেও বাধায় তব জয়
অন্যায়ের অপমান
সম্মান করিবে দান
জয়শ্রীর এই পরিচয়”
১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ‘জয়শ্রীর’ জয়যাত্রা শুরুর সময় সর্বতভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তৎকালীন ভারতবর্ষের বহু উল্লেখযোগ্যে মনীষীগণ, যেমন – বিপ্লবী দার্শনিক অনিল রায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শ্রী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, প্রখ্যাত দার্শনিক শ্রী ব্রজেন্দ্রানাথ শীল , রাধাকুমুদ চট্টোপাধ্যায়, নেতাজির মেজদাদা, বিশিষ্ট আইনজীবী শরৎচন্দ্র বসু প্রমুখ, বিপ্লবী সংগঠন ‘শ্রীসঙ্ঘ’ ও জাতীয়তাবাদী নারীসংগঠন ‘দীপালী সঙ্ঘ’-এর যৌথ মুখপাত্র হিসাবেই ‘জয়শ্রী’র যাত্রা শুরু হয়।
১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সারাদেশ জুড়েই শুরু হয় মুক্তিসংগ্রামের নতুন অধ্যায়। সারা দেশ জুড়ে আইন অমান্য আন্দোলনের পাশাপাসি বাংলা জুড়ে সশস্ত্র বিপ্লব এক নতুন মাত্রাপায় যার সূচনা হয় চট্টগ্রাম সশস্ত্র অভ্যুথানের মাধ্যমে। তারপর কুমিল্লা জেলাশাসক স্তেভেন্সের হত্যা, মেদিনীপুরের পরপর তিনজন জেলাশাসকের হত্যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়।
এর প্রত্যুত্তরে ব্রিটিশ শাসকেরা শুরু করে ধরপাকড়, গ্রেফতার করা হয় বিপ্লবী নেতৃবৃন্দকে। অনিলচন্দ্র রায় ১৯৩০ সালে ও লীলা নাগ ২০শে ডিসেম্বর, ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে কারাবন্দী হয়। ৭ই অক্টোবর, ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে লীলা রায় মুক্তি পান। এমতবস্থায়, ১৯৩৫-৩৮ খ্রিস্টাব্দ – সময়কালে ‘জয়শ্রী’র প্রকাশ বন্ধ ছিল। তারপর থেকে ‘জয়শ্রী’ নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে।
১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ঐতিহাসিক হরিপুরা কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি শুরু করেন প্ল্যানিং কমিশন। দেশে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং প্রদেশগুলিতে প্রাদেশিক প্ল্যানিং কমিটি গঠিত হয়। নেতাজি লীলা নাগকে জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মনোনীত করেন। ক্রমে তিনি ও বিপ্লবী দার্শনিক অনিলচন্দ্র রায় নেতাজির খুব ঘনিষ্ঠ বৃত্তে চলে আসেন। ইতিমধ্যে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে শ্রী অনিলচন্দ্র রায় ও লীলা নাগ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরি কংগ্রেস অধিবেশনে নেতাজি গান্ধীজীর প্রবল বিরধিতা সত্বেও হিসেবে পুনর্নির্বাচিতোহন। কিন্তু গান্ধীপন্থীদের প্রবল অসহযোগিতার কারনে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এবং গড়ে তলেন ফরওয়ার্ড ব্লক। অনিলচন্দ্র রায় ও রায়ও জাতীয় কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন ও ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদান করেন। নেতাজি লীলা রায়কে ফরওয়ার্ড ব্লকের মুখপাত্র (Forward)-এর দায়িত্ব দেন। তারপর ১৯৪০ নেতাজির অন্তর্ধানের পর তাঁরা দুজনেই ফরওয়ার্ড ব্লকের দায়িত্ব নেন। তারপর ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হলে তাঁরা আবার গ্রেফতার হন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুক্তি পান। কিন্তু এরইমধ্যে একটি ঘটনায় তাঁদের বৈপ্লবিক চরিত্র জনতার সামনে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু “শত্রুর শত্রু আমার মিত্র” এই নীতি অনুসরণ করে ইংরেজদের শত্রুদেশ জার্মানিতে যান ও সেখানে হিটলারের সহায়তায় গড়ে তলেন ‘Free India Legion’ । জার্মানি তৎকালীন USSR আক্রমণ করলে CPI, যারা এতদিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিরপেক্ষ হল, ব্রিটিশ শিবিরে যোগ দেয়, এবং নেতাজির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে তাঁর চরিত্রহনন করতে থাকে।
১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে নেতাজি জার্মানি থেকে জাপান গিয়ে পুনর্গঠন করেন আজাদ হিন্দ ফৌজ ও গথন করেন ‘Provisional Government of Azad Hind’ বা অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকার। এই ঘটনা কে CPI তাদের মুখপাত্রে কুৎসিত ব্যাঙ্গচিত্র এঁকে প্রচার করেন। একমাত্র লীলা রায়ই দৃপ্তকণ্ঠে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, “We shall not stand it”( এ আমরা সইবোনা)
১৯৪২ – ’৪৬ এইসময় জয়শ্রীর প্রকাশ বন্ধ থাকার পর ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে অনিলচন্দ্র রায় ও লীলা রায় দুজনের কারামক্তির পর তা আবার নতুন করে প্রকাশিত হতে থাকে। এইসময় বিপ্লবী দেশনেত্রী ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গদেশে হওয়া ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের পাসে দাঁড়ান ও ত্রানকার্য এ উল্লেখযোগ্য ভুমিকা নেন। ইতিমধ্যে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী দেশনেত্রী লীলা রায় স্বাধীন ভারতের সংবিধান রচনার জন্য Constiuent Assembly (সংবিধান পরিষদ)-তে তৎকালীন অবিভক্ত বঙ্গদেশ থেকে একমাত্র নারী সদস্যা হিসেবে নির্বাচিত হন কিন্তু দেশভাগের প্রতিবাদের তিনি Constituent Assembly থেকে ইস্তফা দেন।তারপরেও ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হিন্দুদের পাশে দাঁড়ান এই বিপ্লবী দম্পতি। অনিলচন্দ্র রায়ের জীবনাবসানের পর মূলতঃ বিপ্লবী দেশনেত্রীর উদ্যোগেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন আইন পাশ হয় ও কলকাতা ও তৎকালীন ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন অংশে উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করা হয়।
১৯৪৭ পরবর্তী ভারতবর্ষে নতুন করে জাতীয়তাবাদ ও সুভাষবাদী ভাবধারার প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করে ‘জয়শ্রী’ পত্রিকা, তখন তাতে প্রথিতযশা বহু লেখক ও সাংবাদিকের লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক শ্রী রমেশচন্দ্র মজুমদার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিচারপতি Justice রাধাবিনোদ পাল, প্রক্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও গায়ক শ্রী দিলিপ কুমার রায়, প্রখ্যাত গবেষক ডঃ শঙ্করীপ্রসাদ বসু, ভারত বিখ্যাত কবিরাজ শ্রী কমলাকান্ত ঘোষ, প্রখ্যাত বিপ্লবী কালীচরণ ঘোষ, অধ্যাপক নন্দ মুখোপাধ্যায়, পবিত্র কুমার ঘোষ, গোপাললাল সান্যাল, সাবিত্রীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় (স্বাধীনতা সংগ্রামী), হিরেন্দ্রনাথ নন্দী, সন্তোষ ভট্টাচার্য, কবি অলোক রঞ্জন ঘোষ, অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ নাগ, ক্ষণেস্বর ঘোষাল, আগমনী লাহিড়ী, পূর্ণিমা ভট্টাচার্য, সাগরিকা ঘোষ প্রমুখ। এছাড়াও জয়শ্রীর সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভন্ন ভাবে যুক্ত ছিলেন কবিরাজ কমলাকান্ত ঘোষ, সন্তোষ ভট্টাচার্য, সুনীল দাস, শৈলেন্দ্রসুন্দর দাস, অপূর্বচন্দ্র ঘোষ, দুলাল নন্দী, শৈলেন্দ্রকুমার রায়, সারদাচরণ বসু প্রমুখ। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে দেশনেত্রীর মহাপ্রয়াণের পর ‘জয়শ্রী’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব সামলান প্রাক্তন বিপ্লবী ও প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল দাস, প্রাক্তন সাংসদ ও অধ্যাপক সমর গুহ এবং বিপ্লবী দেশনেত্রীর ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রী বিজয় কুমার নাগ। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ভারতে জরুরী অবস্থা জারি থাকাকালীন ও তৎকালীন সম্পাদক সুনীল দাস আত্মগোপন করলেও জয়শ্রীর প্রকাশ অব্যাহতই ছিল। ‘জয়শ্রী’ ধারাবাহিকভাবে নেতাজির বিরুদ্ধে হওয়া সরকারি ও বেসরকারি স্তরের কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছে। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হওয়া শাহনওয়াজ কমিশন, ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হওয়া খোসলা কমিশন, যেগুলি ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রহস্যময় অন্তর্ধানের তদন্ত ও সমাধান হেতু গঠিত হয়েছিল, সেখানে নিরবিছন্ন ভাবে সত্যপ্রকাশ ও প্রতিষ্ঠা হেতু প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল ‘জয়শ্রী’। এরইমধ্যে ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদানের ঘৃণ্য অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা ‘জয়শ্রী’, যেখানে তার হয়ে আইনি লড়াইয়ের নামেন ভারতবর্ষের দুই প্রখ্যাত আইনজীবী শ্রীকৃষ্ণমণি ও ফলিস্যাম নরিম্যান সাহেব, যাঁদের ক্ষুরধার মুক্তির সামনে কেন্দ্রীয় সরকার পরাজিত হয় ও নেতাজিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের সিধান্ত থেকে পিছু হটটে বাধ্য হয়। সৎসাহিত্য প্রকাশ করা ছাড়াও, জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রচারের জন্য ‘জয়শ্রী’ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করেছে, যারমধ্যে ‘জয়শ্রী’ পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম শতবর্ষ উদযাপন, আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন আনুস্থান উদযাপন অনুষ্ঠান উল্লেখযোগ্য। ‘জয়শ্রী’ শতবর্ষের দ্বারে দাড়িয়ে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রচারে তার নিরলস সাধনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ২০২০ – ২১ খ্রিস্টাব্দে কোভিড – ১৯ অতিমারীর পুরব পর্যন্ত জয়শ্রী পত্রিকার মাসিক সংস্করণগুলি অব্যাহতভাবে হয়েছে। বর্তমানে নিয়মিত লেখকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ডঃ পবিত্র কুমার গুপ্ত, অধ্যাপক রমাপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত চিকিৎসক ডঃ মধুসূদন পাল, প্রখ্যাত চিকিৎসক শ্রী শঙ্কর কুমার চ্যাটার্জি, ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী, চলচ্চিত্র পরিচালক শ্রী অম্লাম কুসুম ঘোষ, অধ্যাপক গবেষক ডঃ পলাশ মণ্ডল প্রমুখ।
পরবর্তী অতিমারী ও আর্থিক সঙ্কটের কারণে ‘জয়শ্রী’ পত্রিকা প্রকাশ সময়িকভাবে বন্ধ ছিল। সুখের বিসয়, বর্তমানে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে ১৫ই এপ্রিল, বাংলা ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা বৈশাখে সন্ন্যাসী দেশনায়ক ভারত পথিক শ্রী শ্রী ভগবানজী আশীর্বাদে সব বাধা বিপদকে জয় করে প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন এই ‘জয়শ্রী’ পত্রিকার মাসিক সংস্করণ অনলাইন মাধ্যমে www.jayasreepatrika.net শীর্ষক ওয়েবসাইটতে পুনরায় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। শ্রী শ্রী মা, শ্রী শ্রী ঠাকুর, স্বামীজী মহারাজ, মা কালী ও তাঁর সন্তান শ্রী শ্রী ভগবানজীর আশীর্বাদ আমাদের পথপ্রদর্শন করুক, আমাদের রক্ষা করুক, এই প্রার্থনা
জয় হিন্দ, জয় মহাকাল
